1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

রাঙ্গামাটিতে ৩ /৪ মাসে ভেস্তে গেছে হাত ধোয়া প্রকল্প 

  • Update Time : সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০২৩
  • ৭৪ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাঙ্গামাটি শহরের বনরূপা এলাকায় স্থাপিত বেসিনটি ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে । কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের হাত ধোয়ার সুব্যবস্থার জন্য রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন বাজারে বেসিন বসানোর উদ্যোগ নেয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই)। বেসিনপ্রতি ২৫ হাজার টাকা ব্যয় করে জেলা শহরসহ ১০ উপজেলায় মোট ২৭টি বেসিন বসানো হয়। তবে এসব বেসিনের একটিও বর্তমানে ব্যবহারের উপযোগী নেই। মূলত পানির সুব্যবস্থা নিশ্চিত না করে এ প্রকল্প গ্রহণ করায় কার্যত কোনো কাজেই আসেনি।

এসব বেসিন বর্তমানে পরিণত হয়েছে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ কিংবা ডাস্টবিনে। জনসাধারণের অভিযোগ, তড়িঘড়ি করে এসব বেসিন বসানো হলেও রক্ষণাবেক্ষণ ও সাবান-পানির অভাবে সব বেসিনই অকার্যকর। ডিপিএইচই বেসিন বসিয়ে সরকারি অর্থ ব্যয় করলেও মূলত সব টাকাই গচ্চা গেল। জেলা জেডিপিএইচই কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনাকালীন সময়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবান পানি দিয়ে ঘন ঘন হাত ধোয়ার নির্দেশনা ছিল। সে সময় দেশজুড়ে স্থায়ীভাবে জেলা শহর ও উপজেলাভিত্তিক বেসিন বসানোর প্রকল্প হাতে নেয় ডিপিএইচই।

এ প্রকল্পের অধীনে রাঙ্গামাটি জেলা শহর ও বাকি নয় উপজেলায় ২৭টি স্থায়ী বেসিন বসানো হয়েছে। প্রতিটি বেসিনের জন্য বরাদ্দ ছিল ২৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে রাঙ্গামাটি শহর এলাকায় নয়টি ও জেলার বাকি নয় উপজেলায় দুটি করে ১৮টি বেসিন বসানো হয়েছিল। তবে বেসিন বসানোর কয়েক মাসের মধ্যে এসব বেসিন ব্যবহৃত ও পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। প্রতিটি বেসিন বসাতে ব্যয় হয় ২৫ হাজার টাকা। সে হিসাবে ডিপিএইচইয়ের মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

রাঙ্গামাটি শহরের বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে পরিচিত রিজার্ভবাজারে দুটি, তবলছড়ি বাজার, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, শহরের প্রাণকেন্দ্র বনরূপা বাজার, জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ের প্রধান ফটক, পোস্ট অফিস এলাকা, কলেজগেট ও সদর উপজেলার মানিকছড়িতে একটি করে সদর উপজেলার মধ্যে মোট নয়টি বেসিন বসানো হয়। কার্যত বেসিন বসানোর কয়েক মাসের মধ্যে প্রায় সব বেসিন অকার্যকর ও পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। রক্ষণাবেক্ষণ ও নিয়মিত সাবান-পানির ব্যবস্থা নিয়েও ছিল না কর্তৃপক্ষের কোনো তদারকি।

এদিকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে জেলা ডিপিএইচই কার্যালয়ের সামনেও নিরাপদ সুপেয় পানির ব্যবস্থায় একটি পানির ট্যাংকও বসানো হয়েছে। অফিসের সামনে থাকলেও সেটিরও তদারকি করতে পারেনি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ। ট্যাংকটির পানির কল পর্যন্ত নিয়ে গেছে দুর্বৃত্ত। উৎস দেবনাথ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘কভিডের সময় আমরাও কিছুদিন শহরের প্রাণকেন্দ্র বনরূপা, ডিসি অফিসের সামনেসহ বিভিন্ন হাটবাজারে এসব বেসিন দেখেছি। কিন্তু বেশি দিন এসব বেসিন টিকেনি। কিছু কিছু বেসিন ময়লা-আবর্জনায় পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই। এখন তো সব বেসিনই পরিত্যক্ত। প্রকল্পটি কোনো কাজেই আসেনি।

’ ডিপিএইচইয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ২০২০ সালের মার্চের শেষদিকে দেশে কভিড-১৯-এর প্রকোপ দেখা দেয়। তখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে নির্দেশনা ছিল বারবার সাবান পানি হাত ধোয়ার। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলায় বিভিন্ন হাটবাজারে পানির বেসিন বসানোর উদ্যোগ নেয় প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বেসিন তৈরির পর কিছুক্ষণ সেসব বেসিনে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা রাখতে পারলেও পরবর্তী সময়ে তা নিয়মতান্ত্রিকভাবে করা যায়নি। মূলত পানি সরবরাহ ব্যবস্থার সংকটের কারণে পুরো প্রকল্পটি ভেস্তে যায়। যদিও এসব বেসিনে বিভিন্ন হাটবাজারের ব্যবসায়ী সমিতিকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বলা হলেও কার্যত কেউ-ই নজর না দেয়ায় কোনো সুফল মেলেনি। যেকোনো উদ্যোগ গ্রহণের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের ভুলনীতির কারণে সরকারি অর্থ গচ্চা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন  অভিজ্ঞমহল  । কিন্তু কর্তৃপক্ষ পানি সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত না করেই এসব বেসিন বসিয়েছে। যে কারণে লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে এসব বেসিন বসানো হলেও যেগুলো কার্যত দুই-এক মাসের বেশি কাজে আসেনি।

জানাগেছে, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও ভুল নীতির কারণেই  উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা গচ্চা যাচ্ছে।’ এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডিপিএইচইর নির্বাহী প্রকৌশলী পরাগ বলেন, ‘কভিডের সময় জরুরি ভিত্তিতে জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে বেসিন বসানো হয়েছিল। প্রত্যেকটি বেসিনের ব্যয় বরাদ্দ ছিল ২০-২৫ হাজার টাকা মধ্যেই। বেসিনগুলো তৈরির পর আমরা বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ বুঝিয়ে দিলেও তারা রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারেনি। এছাড়া ওই সময়ে মানুষের মধ্যে হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা ও প্রণবতা ছিল, আমরা সাবান ও স্যানিটেশন গুরুত্বপুর্ণ স্থানে ব্যবস্থা করেছি। এসব কারণেই এগুলো সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ আর ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। বর্তমানে এসব বেসিন সংস্কারেও আমাদের কোনো ফান্ড নেই।’ জানতে চাইলে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও ডিপিএইচইয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিপুল বলেন, ‘এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..